আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় সাতক্ষীরা জেলার আয়তন কত, সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের মধ্যে খুলনা বিভাগের অন্তর্গত ।
সাতক্ষীরা জেলা সর্ম্পকে কিছু তথ্যঃ-
সাতক্ষীরা জেলার উত্তরে যশোর জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে খুলনা জেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। অবস্থানগত দিক দিয়ে সাতক্ষীরা জেলার অবস্থান বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে। উচ্চতার দিক বিবেচনা করলে এ অঞ্চল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক ১৬ ফুট উচুঁতে। জেলার সীমানা যেভাবে নির্ধারিত হয়েছে তাতে উত্তর-দক্ষিণে দীর্ঘ। তবে এ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের সব অংশে জনবসতি নেই। এর মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ বনাঞ্চল। সুন্দরবনের মধ্যে যে পরিমাণ ভূমি তার পরিমাণ ১৪৪৫.১৮ বর্গ কিলোমিটার।

সাতক্ষীরা জেলার আয়তন কত:-
সাতক্ষীরা-জেলা উত্তর দক্ষিণে লম্বা। জেলার আয়তন ৩,৮৫৮.৩৩ বর্গ কি:মি:। তন্মধ্যে দক্ষিণাংশের এক-তৃতীয়াংশ ভূমি সুন্দরবনের অন্তর্ভুক্ত। সাতক্ষীরার অংশে সুন্দরবনের অংশ ১৪৪৫.১৮ বর্গ কি:মি:। পূর্বে খুলনা জেলা, উত্তরে যশোর জেলা, পশ্চিমে চব্বিশ পরগনা (ভারত) জেলার বশির হাট মহকুমা এবং দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর. জেলার উত্তরগোলার্ধে নিরক্ষরেখা এবং কর্কটক্রান্তির মধ্যবর্তী ২১°৪৮´থেকে ২২°৫৮´উত্তর অক্ষাংশে এবং৮৮°৫৫´থেকে৮৯°৫৫´পূর্বদ্রাঘিমাংশে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে আনুমানিক গড়ে ১৬´উচ্চে অবস্থিত।

সাতক্ষীরা-জেলার নামকরণঃ-
প্রাচীনকালে এই জেলাকে বাগড়ী, ব্যাঘ্রতট, সমতট, যশোর, বুড়ন প্রভৃতি নামে অভিহিত করা হতো। অবশ্য এ জেলার নামকরণের পেছনে অনেক মত প্রচলিত আছে। প্রথম ও প্রধান মতটি হলো চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের এক কর্মচারী বিষুরাম চক্রবর্তী নিলামে বুড়ন পরগনা ক্রয় করে তার অর্ন্তগত সাতঘরিয়া নামক গ্রামে বাড়ি তৈরী করেন। তার পূত্র প্রাণনাথ সাতঘরিয়া অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন করেন।
১৮৬১ সালে মহকুমা স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর ইংরেজ শাসকরা তাদের পরিচিত সাতঘরিয়াতেই প্রধান কার্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ইতোমধ্যেই সাতঘরিয়া ইংরেজ রাজকর্মচারীদের মুখে ‘সাতক্ষীরা’ হয়ে যায়। দ্বিতীয় মতটি হলো একদা সাত মনীষী সাগর ভ্রমণে এসে একান্ত শখের বসে (মতানৈক্যে রান্নার উপকরণাদি না পেয়ে) ক্ষীর রান্না করে খেয়েছিলেন। পরবর্তীতে ‘ক্ষীর’ এর সাথে ‘আ’ প্রত্যেয় যুক্ত হয়ে ‘ক্ষীরা’ হয় এবং লোকমুখে প্রচলিত হয়ে যায় সাতক্ষীরা।

আরও পড়ূনঃ

১ thought on “সাতক্ষীরা জেলার আয়তন কত”